শীতের সময়ে কম্বল দেয়া হয়নি, তাই গরমকালে দেয়া কম্বল দিয়েই তাদের শীত কাটাতে হচ্ছে।
এদিকে, শীতের কম্বলের চাহিদার কথা উপর মহলকে জানালেও এখনো কম্বল মেলেনি কয়েদীদের ভাগ্যে।
জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায়, কারাগারে নারী ওয়ার্ডে একজন নবজাতকসহ ৩৫ জন নারী রয়েছেন। অন্যদিকে, কারাগারের অভ্যন্তরে সবগুলো ওয়ার্ডে কয়েদী রয়েছে ৮৬৫ জন। এদের কারো গায়েই শীতের জন্য গরম কাপড় নেই। অধিকাংশ কয়েদী দরিদ্র হওয়ায় শীত মেটানোর মতো গরম কাপড় কেনা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। সরকারিভাবে প্রতি কয়েদীর জন্য গরমকালের জন্য জনপ্রতি ৩টি কম্বল দেয়া হয়। শুধুমাত্র গরমকালে ব্যবহারের জন্য দেয়া তিনটি কম্বলের মধ্যে একটি কম্বল মাথার বালিশ হিসেবে ব্যবহারের জন্য, একটি বিছানা হিসেবে পাতার জন্য আর অন্যটি গায়ে জড়ানোর জন্য দেয়া হয়।
এ কম্বল দিয়ে গরমকাল পার করা গেলেও শীতকালে কম্বল নিয়ে কয়েদীরা পড়েছেন বিপাকে।
গত কয়েকদিন ধরে, যেখানে বাড়তি লেপ-তোষক ও জ্যাকেট গায়ে দিয়েও শীত নিবারণ হচ্ছে না সেখানে একটি পাতলা কম্বল গায়ে দিয়ে শীতে কঠিন সময় পার করছেন কয়েদীরা। তাই, শীত নিবারণ করতে কয়েদীরা জড়ো হয়ে অথবা কয়েকজন একত্র হয়ে কম্বল গায়ে জড়িয়ে শুয়ে বসে থাকছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কারাগারে এমনও অনেক কয়েদী আছেন যাদের পরনের একটি লুঙ্গি ও একটি গেঞ্জি ছাড়া গায়ে জড়ানোর মতো কিছু নেই। ফলে, হাড়কাঁপানো এ শীতে দিন-রাত পার করতে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
এদিকে, গাইবান্ধা জেলা কারাগারের সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, শীতে কয়েদীদের জন্য কম্বল প্রয়োজন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কম্বলের চাহিদার কথা জানানো হয়েছে।
প্রতি বছরই শীতে কয়েদীদের মধ্যে বাড়তি কম্বল দেয়া হয় এবার এখনো বরাদ্দ না পাওয়ায় কম্বল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শীতের তীব্রতার কারণে কয়েদীদের মধ্যে বিতরণের জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি পাঠানো হলেও কোনো কম্বলের সংস্থান হয়নি। তবে চেষ্টা চলছে।’